আলোককণিকা
আলোককণিকা
শুকরিয়া আদায় করছি আকাশ ও জমিনের এবং এর মধ্যে বিদ্যমান সকল কিছুর স্রষ্টা রাব্বুল আলামিনের দরবারে। যাঁর অশেষ মেহেরবানিতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে দিক দিগন্তের প্রাচীর ভেদ করে।
দরুদ ও সালাম পেশ করছি বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক রাসূল (সাঃ) এর প্রতি।
ঘনঘটা অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে আলোররশ্মি রূপে আত্মপ্রকাশ করলেন বিশ্ব মানবের মুক্তির দূত রাহমাতুল্লিল আলামিন। সমাজ থেকে সকল অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন থেকে পৌত্তলিকতার আবদ্ধ থেকে সত্য ও সুন্দরের পথ দেখালেন, দেখালেন মুক্তির নিশান। জাহেলিয়াতের সমস্ত পাপকাজগুলো চিরতরে বন্ধ করার, রাব্বুল আলামিনের আইন এই দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠার জন্য শুরু হলো এক নব যুগের, পথচলা শুরু হলো সত্য ন্যায়ের এক আন্দোলনের। আমরা যাকে বলি ইসলামী আন্দোলন।
বর্তমান সমাজব্যবস্থা যেন এক একটি জাহেলিয়াতের প্রতিচ্ছবি। নব্য এই জাহেলিয়াতের যুগে সত্য সন্ধানীরা যেন আলোকের সন্ধানে ব্যতিব্যস্ত। সেই সত্য পথ আজকে আমরা ভুলতে বসেছি প্রায়। রাসূল (সাঃ) উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য দুইটি অমূল্য সম্পদ রেখে গেছেন যা আজকের দিনে সেই অমূল্য দুই সম্পদে থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে উম্মতী মুহাম্মদীদের সারা বিশ্ব জুড়ে অত্যাচার, নির্যাতনের জালে পিষ্ট হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
যে আলোকের পথ খুঁজছি আমরা তা রয়েছে বিশ্বমানবতার মহান শিক্ষক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন চরিত্রে। আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, আসলে তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে ছিল একটি উত্তম আদর্শ এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহ ও শেষ দিনের আকাঙ্ক্ষী এবং বেশী করে আল্লাহকে স্মরণ করে। (সূরা আহযাব: ২১)
মূলত, পৃথিবীবাসীর কল্যাণের জন্যেই আল্লাহ তা’য়ালা পৃথিবীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে প্রেরণ করেছে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, আর আমি তো আপনাকে পৃথিবীবাসীর জন্য কেবল রহমতস্বরূপেই প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়া: ১০৭)
মাশাআল্লাহ
শুকরিয়া
মাশা-আল্লাহ
Sukria