আল কুরআনে বর্ণিত পঁচিশজন নবীর নাম


আল কুরআনে বর্ণিত পঁচিশজন নবীর নাম

আবু জার গিফারী নবী করীম (সা.)-কে প্রশ্ন করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নবীদের সংখ্যা কত? তিনি জবাব দিলেন ১ লাখ ২৪ হাজার। তাঁদের মধ্যে ৩১৫ জন হলেন রাসূল। (সহিহ ইবনে হিব্বান-৩৬১)। তবে কুরআনে শুধু পঁচিশজন নবী ও রাসূলের কথা উল্লেখ আছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-
১. আদম আলাইহিস সালাম। মোট নয়টি সূরায় ২৫ বার তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ছিলেন সর্বপ্রথম মানুষ ও নবী।
২. ইদরিস আলাইহিস সালাম। মাত্র দুবার তাঁর নাম কুরআনে উল্লেখ আছে।
৩. নুহ আলাইহিস সালাম। ২৮ সূরায় ৪৩ বার এই নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সাড়ে নয়শো বছর নিজ জাতিকে দাওয়াত দেওয়ার পরও তারা অবাধ্য হওয়ায় তাঁর জাতিকে প্লাবন দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। নুহ আলাইহিস সালামকে দ্বিতীয় আদমও বলা হয়। তাঁর নামে সম্পূর্ণ একটি সূরাও নাজিল করা হয়।
৪. হুদ আলাইহিস সালাম। ৩টি সূরায় মোট ৭ বার তাঁর উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর নামে সম্পূর্ণ একটি সূরাও নাজিল করা হয়।
৫. সালেহ আলাইহিস সালাম। ৪টি সূরায় ৯ স্থানে তাঁর নাম উল্লেখ আছে।
৬. ইবরাহিম আলাইহিস সালাম। ২৫ সূরায় মোট ৬৯ বার তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর নামে সম্পূর্ণ একটি সূরাও নাজিল করা হয়। তিনি আবুল আম্বিয়া নামেও পরিচিত।
৭. লুত আলাইহিস সালাম। ১৪টি সূরায় ২৭ বার উল্লেখ করা হয় তাঁর নাম। তাঁর সম্প্রদায় সমকামিতার মতো জঘন্য পাপে লিপ্ত ছিল এবং তাঁর স্ত্রীও ছিল কাফির।
৮. ইসমাঈল আলাইহিস সালাম, যিনি জাবিহুল্লাহ নামে পরিচিত। ৮টি সূরায় ১২ স্থানে তাঁর নাম উল্লেখ রয়েছে।
৯. ইসহাক আলাইহিস সালাম। কুরআনে ১২টি সূরায় ১৭ বার তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সন্তান ও ইসমাঈল আলাইহিস সালামের ভাই।
১০. ইয়াকুব আলাইহিস সালাম। ১০টি সূরায় ১৬ বার আলোচিত হয়েছে তাঁর নাম। তিনি ইসরাঈল নামেও পরিচিত। তাঁর নামানুসারে বর্তমান ইসরাঈলের নামকরণ করা হয়েছে। তিনি ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নাতি।
১১. ইউসুফ আলাইহিস সালাম। ৩ টি সূরায় ২৭ বার উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর নামে সম্পূর্ণ একটি সূরাও নাজিল করা হয়।
১২. শোয়াইব আলাইহিস সালাম। ৪টি সূরায় ১১ বার উল্লেখ করা হয়েছে।
১৩. আইয়ুব আলাইহিস সালাম। ৪টি সূরায় ৪ স্থানে তাঁর নাম আলোচিত হয়েছে।
১৪. যুলফিকল আলাইহিস সালাম। ২টি সূরায় ২ বার আলোচিত হয়েছে।
১৫. মুসা আলাইহিস সালাম। সর্বাধিক উল্লেখিত এই নবীর নাম কুরআনে ৩৪টি সূরায় ১৩৭ বার উল্লেখ করা হয়েচে। তাঁর ওপর তাওরাত কিতাব নাজিল করা হয়।
১৬. হারুন আলাইহিস সালাম। ১৩টি সূরায় ২০বার তাঁর নাম আলোচিত হয়েছে। কিন্তু মুসা আলাইহিস সালামের দোয়ায় নবী মনোনীত হন।
১৭. দাউদ আলাইহিস সালাম। ৯টি সূরায় ১৬বার আলোচিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ওপর যাবুর কিতাব নাজিল হয়।
১৮. সোলাইমান আলাইহিস সালাম।  ৭টি সূরায় ১৭বার তাঁর উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁকে আল্লাহ সারা পৃথিবীর বাদশাহ বানান এবং তিনি পশু-পাখিদের ভাষাও বুঝতেন।
১৯. ইলিয়াস আলাইহিস সালাম। ২টি সূরায় তিনবার তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
২০. ইয়াসা আলাইহিস সালাম। ২টি সূরায় ২ বার তাঁর উল্লেখ করা হয়েছে।
২১. ইউনুস আলাইহিস সালাম। ২টি সূরায় ২বার তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাঁর নামে সতন্ত্র একটি সূরাও নাজিল করা হয়।
২২. যাকারিয়া আলাইহিস সালাম। সাতটি সূরায় ৭ বার উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর নাম। পেশায় তিনি কাঠুরিয়া ছিলেন।
২৩. ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম। ৪টি সূরায় ৫ বার তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ছিলেন যাকারিয়া আলাইহিস সালামের সন্তান।
২৪. ঈসা আলাইহিস সালাম। ১১টি সূরায় ২৫বার তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআনে তাকে ঈসা েইবনে মারইয়াম নামে আবার কখনো মাসীহ নামে আখ্যায়িত করেছে।
২৫. মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মাত্র ৪টি সূরায় ৪ স্থানে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সরাসরি নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ৪৭টি স্থানে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মর্যাদার কারণে তার নাম উল্লেখ না করে তাঁকে রাসূল অথবা নবী বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url